মেট্রোরেলের টিকিট কিভাবে কাটতে হবে ?

মেট্রোরেলের টিকিট কিভাবে কাটতে হবে ?

ঢাকার যানজটের ভোগান্তি কমাতে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প মেট্রো রেল ব্যবস্থা চলতি ডিসেম্বরের শেষ এই দেশের প্রথম মেট্রো রেল সেবা চালু হতে যাচ্ছে । উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এমআরটি লাইন সিক্স এর সম্পূর্ণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ায় প্রথম ধাপে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেল সেবা চালু হচ্ছে। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম এই ইলেকট্রিক ট্রেনে থাকবেনা কোন ধরনের কাগজের টিকেট। কিভাবে ঢাকা মেট্রো রেলের টিকিট কাটতে হবে এবং কিভাবে দেশের প্রথম ইলেকট্রিক ট্রেনে চড়ার অভিজ্ঞতা নেওয়া যাবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। 

How to buy Metrorail tickets?

সর্বাধুনিক রেল ব্যবস্থায় ঢাকা মেট্রোরেল তৈরি করা হয়েছে । তাই অধিকাংশ যাত্রীর জন্যই এই ট্রেনে ছড়ানো হবে সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞ্যতা । প্রতিটি মেট্রো রেল স্টেশনে ঢোকার পর প্রথমেই ঠিক এইরকম একটি মেশিন দেখা যাবে। মেট্রোরেলের যাত্রা করার আগে এখান থেকে ইলেকট্রনিক টিকেট কেটে ট্রেনে চড়তে হবে । তবে প্রতিবার টিকেট কাটার ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে এমআরটি 5 এবং র্যাপিড 5 ব্যবহার করে যাত্রীরা সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।

Advertisements

টিকিট কাটার জন্য প্রথমেই আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য নির্বাচন করতে হবে। এরপর স্ক্রিনে প্রদর্শিত টিকেটের মূল্য মেশিনের ভেতরে প্রবেশ করাতে হবে ।ভাংতি টাকা না থাকলেও সমস্যা নেই মেশিন থেকে আপনার প্রাপ্য বাকি টাকা ফেরত দেয়া হবে । টিকেটের মূল্য পরিশোধ করা হলে মেশিন থেকে একটি ইলেকট্রনিক টিকেট বের হবে। টিকেট নিয়ে সরাসরি চলে যেতে হবে প্লাটফর্মে । প্রতিটি প্লাটফর্মে প্রবেশের আগে গেট থাকবে ওই গেট এ ইলেকট্রনিক টিকেট প্রবেশ করতে হবে।

গেট আপনা আপনি খুলে যাবে । একটি টিকেট দিয়ে একজনের বেশি লোক এই গেট পার হতে পারবে না । ট্রেনে ওঠার জন্য প্রথমে লাইনে দাঁড়াতে হবে । এরপর কাঙ্ক্ষিত ট্রেনে উঠে যাত্রা শেষ করে একবার ব্যবহারযোগ্য ইলেকট্রনিক টিকেটটি বহির্গমন গেটে জমা দিতে হবে। যারা এমআরটি 5 এবং রাপিডস ব্যবহার করবেন তারা শুধু গেটে তাদের 5 দেখিয়েই চলে যেতে পারবে। 

মেট্রোরেলে আপনার পরিশোধিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভ্রমণের কোন সুযোগ নেই । মনে করুন আপনি উত্তরা সেন্টার স্টেশন থেকে মিরপুর 10 স্টেশনের জন্য টিকেট কেটেছেন কিন্তু ট্রেনে ওঠার পর ভাবলেন আপনি আগারগাঁও নামবেন এক্ষেত্রে আপনার পরিশোধিত ভাড়ার অতিরিক্ত কয়েকটি স্টেশন ভ্রমণ করতে হবে। তখন আপনি আপনার ইলেকট্রনিক টিকেটটি গেটে জমা দিয়ে স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে বহির্গমন গেটের পাশে থাকার টিকেট কাউন্টারে অতিরিক্ত ভ্রমণ করা দূরত্বের মূল্য পরিশোধ করে তারপর আপনি স্টেশন ত্যাগ করতে পারবেন। 

আর যারা এমআরটি 5 এবং গ্রাফিক্স ব্যবহার করবেন এক্ষেত্রেও তাদের কোনো বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না । বহির্গমনের সময় অতিরিক্ত ভ্রমণের সমপরিমাণ অর্থ তাদের এমআরটি 5 এবং রশিদ পাশ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে রাখা হবে। মেট্রোরেলের সবগুলো কামরা সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। বয়স্ক এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নাগরিকদের জন্য স্টেশনে এবং মেট্রোরেলের ভেতরে বিশেষ ব্যবস্থাও রয়েছে ।

যাত্রা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ট্রেনের ভেতরে থাকা স্ক্রিনে দেখতে পারবেন কতক্ষনের মধ্যে ট্রেন পরবর্তী স্টেশনে পৌঁছবে । সে সম্পর্কে এই স্ক্রিণে আগে থেকেই ধারণা দেওয়া হবে । মেট্রোরেল ব্যবহারে বেশকিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে । যেমন মেট্রোরেল দেখার জন্য প্লাটফর্ম থেকে ঝুঁকবেন না । ট্রেনের দরজায় কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। এছাড়া মেট্রোরেলের ভেতরে ময়লা ফেলা, ধূমপান করা, পানের পিক ফেলা, খাবার খাওয়া, ভারী মালামাল পরিবহন করা, ফোনের লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে না ।

Advertisements

অস্ত্র বহন করা, ফেরি করা এবং ভিক্ষা করা সম্পূর্ণ নিষেধ। বর্তমানে শুধুমাত্র উড়ালপথে নির্মিত মেট্রোরেল চালু হচ্ছে 2026 সালের মধ্যে । ঢাকার মেট্রো ব্যবস্থায় পাতালরেল যুক্ত হবে । এছাড়া 2030 সালের মধ্যে ঢাকার কেন্দ্রে এবং আশেপাশে হেমায়েতপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে ভবিষ্যতে ।

Advertisements

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top