উত্তরটি হলো খাবার খাওয়ার পরেই জল পান করলে গ্যাসট্রাইটিস দূর হয়। আসলে গ্যাসট্রাইটিস হল পাকস্থলীর শক্তি আর এই শক্তি আমরা যে খাবার খাই তা হজম করতে সহযোগিতা করে। কিন্তু যে কোন খাবার খাওয়া ঠিক পরেই জল পান করলে শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়। ফলে সেই খাবার সঠিকভাবে হজম হয়না আর খাবার হজম না হওয়ার কারণে পেটের মধ্যে সেই খাবার পচতে শুরু করে এবং তা থেকে গ্যাস এসিড তৈরি হতে থাকে ।
খাবার খাওয়ার পর জল খেলে কি হয় ?

অতিরিক্ত জল খেলে কি হয়
উত্তরটি হলো আসলে তেষ্টা পেলে জল খেতে হয়। এই ব্যাপারটা সকলেই জানে কিন্তু অতিরিক্ত জল পান করা ও ভালো না কারন অতিরিক্ত জল পান করলে মাংসপেশিতে টান ধরতে পারে বমি বমি ভাব হতে পারে। এমনকি মাথার যন্ত্রণা ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে ফলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন খেলতে গিয়ে ঘেমে গিয়ে অনেক মানুষই একসঙ্গে ঢকঢক করে অনেকটা জল খেয়ে ফেলে যা মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে । তাই পরিমাণমতো জল পান করাই ভালো ।
দাঁড়িয়ে নাকি বসে কিভাবে জল পান করা উচিত ?
উত্তরটি হলো দাঁড়িয়ে জল পান করলে শরীরের অভ্যন্তরে থাকা ছাকনি গুলি সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে জল পরিশ্রুত করার কাজে বাধা পায় । ফলে শরীরে টক্সিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে । তাছাড়া দাঁড়িয়ে জল পান করলে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে । বদহজমের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে ফলে গ্যাস দেখা দিতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জল পান করলে নার্ভ উত্তেজিত হয়ে যায় যা উদ্বেগ বাড়াতে সাহায্য করে । এমনকি দাঁড়িয়ে জল পান করলে কিডনির কর্মক্ষমতাও কমে যায় ফলে কিডনি ড্যামেজের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় ।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জল পান করলে কি হয় ?
উত্তরটি হলো বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস জল পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায় । কারণ সারাদিন কাজ করার সময় শরীরে জলের ঘাটতি হয়ে থাকে তা খুব সহজেই দূর হয়। তাছাড়া ঘুমোনোর আগে জল পান করলে শরীরে হরমোনাল ইমব্যালেন্স দূর হয় ও ক্লান্তি কমতে শুরু করে । ফলে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে সহায়তা পায় অনিদ্রার প্রভাব দূর করে । এমনকি ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
24 ঘন্টার মধ্যে কতটা জল পান করা উচিত ?
উত্তরটি হলো একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জল পান করার পরিমাণ হওয়া উচিত 24 ঘন্টার মধ্যে আড়াই থেকে 4 লিটার অব্দি । তবে শীত-গ্রীষ্ম অনুসারে শরীরে জলের চাহিদা কিছুটা তারতম্য হতে পারে। তাছাড়া যে সমস্ত মানুষ শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের বেশি পরিমাণে জল পান করতে হবে।
কাদের জল কম খাওয়া উচিত ?
উত্তরটি হলো আসলে যে সমস্ত মানুষ হার্টের অসুখে আক্রান্ত তাহাদের জল খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে । কারণ এই সমস্ত মানুষদের হাটের সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা হ্রাস পায় । তাছাড়া লিভারের অসুখ ও কিডনির অসুখে আক্রান্ত মানুষদের জল পান করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত। কারণ কিডনি নির্দিষ্ট পরিমাণে জল আকারে বের করে দিতে পারে না। ফলে পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
প্রতিদিন গরম জল খেলে কি হয় ?
উত্তরটি হলো গরম জল খেলে শরীর ডিটক্স সিফাইড হয় এবং এটি শরীরের সব অসুবিধাকে সহজেই পরিষ্কার করে দেয় । আসলে গরম জল পান করলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে যার ফলে ঘাম বৃদ্ধি পায় এবং এর মাধ্যমে শরীরের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যায় । তাছাড়া গরম জল আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য খুব উপকারী কারণ এর ফলে চুলের উজ্জ্বলতা আসে এবং চুলের বৃদ্ধিতে ও সহায়তা পায় ।
জল খাওয়ার সঠিক সময় কখন ?
উত্তরটি হলো আসলে খাবার খাওয়ার 30 থেকে 40 মিনিট পরে জল পান করা উচিত কারণ এর ফলে খাবার আরো ভালোভাবে হজম করতে সাহায্য করে। তাছাড়া রাতে খাবার খাওয়ার আধাঘন্টা পরে জল পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। কারণ এই সময় জল পান করলে শরীরে উপস্থিত টক্সিন বাইরে বেরিয়ে আসে । ফলে শরীর সুস্থ থাকতে সহায়তা পায় ।
সকালে খালি পেটে গরম জল খেলে কি হয় ?
উত্তরটি হলো সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম জল পান করলে তা আমাদের পেট সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে । যার ফলে গ্যাসের সমস্যা সহজেই দূর হয় । গরম জল আমাদের হজম এবং বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে ।
অতিরিক্ত ঠান্ডা জল পান করলে কি হয় ?
উত্তরটি হলো বিশেষজ্ঞদের মতে অতিরিক্ত ঠান্ডা জল পান করলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে দাঁতের ভেগাস নার্ভ এর উপর। কারণ এই ভেগা স্নায়ু হলো আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ যা বেশি ঠান্ডা জল পান করলে উদ্দীপিত হয়ে ওঠে । অতিরিক্ত ঠান্ডা জল না পান করে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকা জল পান করা ভালো ।